1. islamandlifestudio@gmail.com : islamandlife :
  2. saif17rfl@gmail.com : Muhammad Saifullah : Muhammad Saifullah
মানুষ কি মহাবিশ্বের শেষ সীমানায় পৌছাতে পারবে? | এ ব্যাপারে কি বলে আল-কুরআন ও বিজ্ঞান? - Islam and Life
বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ০৫:০২ অপরাহ্ন

মানুষ কি মহাবিশ্বের শেষ সীমানায় পৌছাতে পারবে? | এ ব্যাপারে কি বলে আল-কুরআন ও বিজ্ঞান?

মুহাঃ উবায়দুল্লাহ
  • Update Time : মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০২৩

মানুষ কি মহাবিশ্বের শেষ সীমানায় পৌছাতে পারবে?

এ ব্যাপারে কি বলে আল-কুরআন ও বিজ্ঞান?

يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْإِنسِ إِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَن تَنفُذُوا مِنْ أَقْطَارِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ فَانفُذُوا ۚ لَا تَنفُذُونَ إِلَّا بِسُلْطَانٍ

‘হে জিন ও মানুষ! আসমান ও যমীনের প্রান্ত অতিক্রম করা যদি তোমাদের সাধ্যে কুলায়,তবে অতিক্রম কর। বস্তুত ছাড়পত্র ব্যতীত তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না।’ [সূরা আর-রহমান, ৫৫: ৩৩]

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।

প্রিয় দর্শক! ইসলাম এন্ড লাইফের আল-কুরআন ও বিজ্ঞানবিভাগের নতুন আয়োজনে আপনাদের সকলকে স্বাগত জানাচ্ছি। আজকের ভিডিওতে আমরা মহাবিশ্বের প্রকৃত আয়তন,মহাবিশ্বের শেষ সীমানা এবং সেখানে মানুষের পৌছানো সম্ভব কি-না- এ বিষয়গুলো নিয়ে আল-কুরআন ও বিজ্ঞানের আলোকে আলোচনা করবো, ইনশা আল্লাহ।

  • মহাবিশ্বের প্রকৃত আয়তন কত?

প্রিয় দর্শক! আপনাদের নিশ্চয় মনে আছে- আমাদের চ্যানেলের “মহাবিশ্বের আয়তন কত? বিজ্ঞান কি তা আবিষ্কার করতে পেরেছে?” এর ১ম ও শেষ পর্বে পৃথিবী থেকে শুরু করে ১ম আসমান পর্যন্ত বিস্তৃত স্থানের আয়তন নিয়ে আলোচনা আছে। ঐ দু’টি পর্বে আমরা দেখেছি- পৃথিবীর কোনো স্থানের বিবেচনায় সমতল পৃথিবীর আয়তন যেন কত বিশাল! ৫১ কোটি ৯৮ হাজার ৫২০ বর্গ কিলোমিটার! আবার আমরা ‘ভয়েজার ওয়ান পেইল ব্লু ডট’ও দেখিছি। সেখানে দেখেছি- আমাদের সৌরজগতের তুলনায় এ পৃথিবী কত ক্ষুদ্র। পৃথিবী থেকে মাত্র ৬০০ কোটি কিলোমিটার দূরে গিয়ে যখন পৃথিবীর ছবি তোলা হলো, সেই ছবিতে পৃথিবী একটা সরিষা দানার মত ক্ষুদ্র। প্রায় দেখাই যায় না।

এই ক্ষুদ্র পৃথিবী থেকে মানুষ যখন মহাকাশে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ স্থাপন করেছে, তখন আমরা দেখতে পাচ্ছি এ মহাবিশ্বের আয়তন কত বিশাল। মহাবিশ্বের অসীম আয়তন দেখে আমাদের চোখ ছানাবড়া অবস্থা। অন্তহীন এ মহাবিশ্বের যেন শেষ বলতে কিছুই নেই। যত দূরে যায় আরো দূরে আরো দূরে আলো আর আলো… এখনও আসছে … আলফা সেন্টরি থেকে আলো আসছে,মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি অর্থাৎ  মহাজাগতিক গ্যালাক্সি-গুচ্ছ- ভার্গো সুপারক্লাস্টার থেকে আলো আসছে, লোকাল গ্যালাক্সি গ্রুপ থেকে আলো আসছে, গ্রেইট লানিয়াকেয়া সুপারক্লাস্টরের মত বৃহৎ গ্যালাক্সি-গুচ্ছ থেকে আলো আসছে, হারকিউলিস-করোনা বরিয়ালিস গ্রেইট ওয়ালের মত সর্ববৃহৎ সুপারক্লাস্টারের মধ্যে থেকে আলো আসছে, বিলিয়ন বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূর থেকে আলো আসছে … আলো আসছে … অন্তহীন মহাবিশ্ব থেকে প্রতি সেকেন্ডে ৩ লক্ষ কিলোমিটার বা এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার মাইল বেগে আলো ছুটে আসছে …

এই যে “অন্তহীন মহাবিশ্ব” বলছি, আসলে বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় অবজারভেবল ইউনিভার্স। মহাবিশ্বের পর্যবেক্ষণযোগ্য অংশ। বর্তমান বিজ্ঞান এতটুকু পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ করতে পেরেছে। কিন্তু মহাবিশ্বের বিস্তৃতি আরো বিশাল, যা কিনা বিজ্ঞান এখনো পর্যবেক্ষণই করতে পারেনি। সেই অংশকে বলা হয় আনঅবজারভেবল ইউনিভার্স”। মহাবিশ্বের অপর্যবেক্ষণযোগ্য অংশ। মূলত বিগ ব্যাং প্রায় ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে হওয়ায় এর চেয়ে বেশি দূরত্বের কোনো কিছু থেকে আলো এখনো আমাদের কাছে এসে পৌঁছোয়নি। ফলে সে অংশগুলো সম্মন্ধে আমরা ধারণা করতে পারছি না।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. মিহরান এবং তার সহকর্মীরা ধারণা করতে পেরেছেন- মূল মহাবিশ্বের আকার আমাদের পর্যবেক্ষণযোগ্য মহাবিশ্বের চেয়ে প্রায় ২৫০ গুণ বড়!

শুধু তাই নয়, নাসা জানিয়েছে আমরা মহাবিশ্বের কেবল মাত্র ৫% জানি। বাকি ৯৫% আমরা জানতে পারি না! অথচ এই ৫% জেনেই তো মহাবিশ্বের কূল-কিনারা পাওয়া দুষ্কর। তাহলে ভাবুন- মহাবিশ্বের অজানা অংশের পরিমাণ কেমন? তাই ধরে নেওয়া হয়েছে এই ৯৫% অংশের মধ্যকার ২৭% হল ডার্ক ম্যাটার এবং ৬৭% হল ডার্ক এনার্জি। ডার্ক ম্যাটার ও এনার্জি নিয়ে অন্য একদিন আলোচনা করব।

প্রিয় দর্শক! এখন আমাদের মূল আলোচনায় ফিরে আসি। আসলে আমরা মহাবিশ্বের আকার-আকৃতি ও আয়তন সম্পর্কে ধারণা লাভের চেষ্টা করছি, যেন মহাবিশ্বের শেষ মাথায় পৌছানো সম্ভব কি-না- সেটা বোঝা যায়।

মহাবিশ্ব বলতে যে “অবজারভেবল ইউনিভার্স” এর কথা বলা হচ্ছে, নাসা যাকে মহাবিশ্বের কেবল মাত্র ৫% বলছে, আল-কুরআনের ভাষায় সেটাকে বলা যায়- ১ম আসমান। কেননা, দূরের কোনো নক্ষত্র থেকে আমাদের পর্যন্ত আলো এসে পৌছানোর ভিত্তিতেই এ কথা বলা হচ্ছে। আর আল-কুরআনে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ তায়ালা নিকটতম আসমাকে আলো দ্বারা সুসজ্জিত করেছেন। যেমন: সূরা ফুসিলাত এর ১২ নং আয়াতে তিনি বলছেন :

فَقَضَاهُنَّ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ فِي يَوْمَيْنِ وَأَوْحَى فِي كُلِّ سَمَاء أَمْرَهَا وَزَيَّنَّا السَّمَاء الدُّنْيَا بِمَصَابِيحَ وَحِفْظًا ذَلِكَ تَقْدِيرُ الْعَزِيزِ الْعَلِيمِ

‘অতঃপর তিনি আকাশমন্ডলীকে দু’দিনে সপ্ত আকাশ করে দিলেন এবং প্রত্যেক আকাশে তার আদেশ প্রেরণ করলেন। আমি নিকটবর্তী আকাশকে প্রদীপমালা দ্বারা সুশোভিত ও সংরক্ষিত করেছি। এটা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞ আল্লাহর ব্যবস্থাপনা।’ [সূরা ফুসসিলাত, ৪১: ১২]

প্রিয় দর্শক! এ আয়াতে নিকটবর্তী আকাশকে মাসাবীহ(مَصَابِيحَ) বা আলো দ্বারা সুশোভিত করার কথা বলা হয়েছে। এতে বোঝা যায়- নিকটতম আকাশে আলোকময় নক্ষত্র আছে। সেগুলো থেকে বিলিয়ন বিলিয়ন আলোকবর্ষ পেরিয়ে আমাদের কাছে আলো এসে পৌছায়। তাহলে এটাই হয়ত “অবজারভেবল ইউনিভার্স” অথবা মহাবিশ্বের ৫%। সুতরাং, আল-কুরআনের ভাষায় এটাই মহাবিশ্বের শেষ নয়, বরং আরও ৭ টি মহাবিশ্বআছে। যেমন: সূরা নূহে ইরশাদ হচ্ছে :

أَلَمْ تَرَوْا كَيْفَ خَلَقَ اللَّهُ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا

‘তোমরা কি লক্ষ্য কর না যে, আল্লাহ কিভাবে স্তরে স্তরে ৭ আসমান সৃষ্টি করেছেন।’ [সূরা নূহ, ৭১: ১৫]

তাহলে দেখা যাচ্ছে- আলোচ্য আয়াতে সুস্পষ্ট ভাষায় ৭ টি আসমানের অস্তিত্বের কথা বলা হয়েছে। এটাকেই হয়ত আধুনিক পরিভাষায় মাল্টিভার্স, একাধিক মহাবিশ্ব বা বহুবিশ্ব বলা হচ্ছে। তাহলে চলুন, এবারে দেখা যাক- একাধিক মহাবিশ্বসম্পর্কে বিজ্ঞান কি বলে।

অনন্ত মহাবিশ্ব তত্ত্ব অনুযায়ী আমাদের দৃশ্যমান মহাবিশ্ব একটি নয়, বরং অসংখ্য। এই ধারণাটি বিগব্যাং তত্ত্বের পরবর্তী তাত্ত্বিক উন্নয়নের মাধ্যমে আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানের জগতে স্থান করে নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আমাদের মহাবিশ্ব যদি কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশনের মধ্য দিয়ে স্থান-কালের শূন্যতার ভিতর দিয়ে আবির্ভূত হয়ে থাকে, তবে এই পুরো প্রক্রিয়াটি কিন্তু একাধিকবার ঘটতে পারে এবং হয়ত বাস্তবে ঘটেছেও। এই একাধিক মহাবিশ্বের অস্তিত্বের ব্যাপারটি প্রাথমিকভাবে এডোয়ার্ড ট্রিয়ন আর পরবর্তীকালে মূলতঃ আঁদ্রে লিন্ডে এবং আলেকজাণ্ডার ভিলেঙ্কিন এর গবেষণা থেকে বেরিয়ে এসেছে।

ধারণা করা হয় যে, ইনফ্লাশনের মাধ্যমে সম্প্রসারিত মহাজাগতিক বুদ্বুদ থেকে আমাদের মহাবিশ্বের মতই একাধিক মহাবিশ্ব তৈরী হয়েছে, যেগুলো একটা অপরটা থেকে সংস্পর্শবিহীন অবস্থায় দূরে সরে গেছে। এ ধরনের একাধিক মহাবিশ্বের একটিতেই হয়ত আমরা অবস্থান করছি। … দীর্ঘদিন ধরে এই তত্ত্বকে যাচাইযোগ্যতা এবং পরীক্ষণযোগ্যতার অভাবে অভিযুক্ত করা হলেও সম্প্রতি অনন্ত মহাবিশ্বের কিছু পরীক্ষালব্ধ প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে।

২০১০ সালের কাছাকাছি সময়ে স্টিফেন এম. ফিনির মত বিজ্ঞানীরা উইলকিনসন মাইক্রোওয়েভ অ্যানাইসোট্রপি প্রোবের (ডব্লিউএমএপি) তথ্য বিশ্লেষণ করেন। তারা দাবি করেন যে, আমাদের মহাবিশ্বের সাথে সুদূর অতীতে অন্যান্য (সমান্তরাল) মহাবিশ্বের সাথে সংঘর্ষ ঘটেছিল এরকম প্রমাণ তারা পেয়েছেন। [Lisa Zyga। “Scientists find first evidence that many universes exist”।PhysOrg.com। phys.org]

প্রিয় দর্শক! একবিংশ শতাব্দীর বিজ্ঞানের এ সব দাবী এখনও পর্যন্ত পুরোপুরি প্রমাণিত নয়। তবে সেই এক হাজার চারশ’ বছর আগের আল-কুরআন স্পষ্ট ভাষায় বলছে- একটি নয় বরং আসমানের সংখ্যা হলো ৭টি। আশা করি, ক্রমাগত উন্নয়নশীল বিজ্ঞান এক দিন আল-কুরআনে বর্ণিত ৭ আসমানের প্রমাণও খুঁজে পাবে, ইনশা আল্লাহ।

সে যাই হোক, বিজ্ঞানের প্রাথমিক ধারণা এবং আল-কুরআনের সুস্পষ্ট ভাষায় বলা ৭ আসমান যদি ৭ মহাবিশ্ব হয়, সেভেন মাল্টিভার্স হয় এবং তা যদি প্রতিনিয়ত সম্প্রসারিত হতে থাকে তাহলে ভাবুন এ মহাবিশ্বের আয়তন কত কত বিশাল! এ প্রসঙ্গে সূরা যারিয়াতের ৪৭ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলছেন :

وَالسَّمَاء بَنَيْنَاهَا بِأَيْدٍ وَإِنَّا لَمُوسِعُونَ

‘আমি নিজ শক্তিতে আকাশ নির্মাণ করেছি এবং আমি অবশ্যই এর সম্প্রসারক।’ [সূরা যারিয়াত, ৫১: ৪৭]

তাহলে দেখা যাচ্ছে আল-কুরআনের তথ্য মতে ৭ আসমান বা ৭টি মহাবিশ্ব তো আছেই বরং মহাবিশ্ব প্রতিনিয়ত সম্প্রসারিত হয়ে চলেছে … সৌর অঞ্চলগুলো একে অপর থেকে দূরে সরে যাচ্ছে … মহাবিশ্ব বড় থেকে আরও বড় হয়ে চলেছে… মহাবিশ্বের আয়তন আরও বেড়ে চলেছে … এর সীমানা আরও দূর অজানায় ছড়িয়ে যাচ্ছে …

কিন্তু কত দূরে ছড়িয়ে যাচ্ছে? এর কি কোনো ধারনা পাওয়া সম্ভব?

  • মহাবিশ্বের সম্প্রসারণ

আসলে মহাবিশ্ব সম্প্রসারণের কোনো সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া সম্ভব নয়। তবে গ্যালাক্সি থেকে বিচ্ছুরিত আলোর গতি হিসেব করে কিছুটা ধারণা লাভ করা যায় :

বছর দশেক আগে জ্যোতির্বিদেরা হাবল টেলিস্কোপের তথ্য ব্যবহার করে মহাশূন্যের সবচেয়ে দূরের দৃশ্যমান গ্যালাক্সিটির খোঁজ করছিলেন। যদিও দূরবর্তী গ্যালাক্সিগুলোর দূরত্ব নির্ধারণ একটি কঠিন কাজ, তারপরও এই অনুসন্ধানে ২০১২ সালে আবিষ্কৃত MACS0647-JD গ্যালাক্সিটি এখন পর্যন্ত টিকে রয়েছে। MACS0647-JD গ্যালাক্সিটির লাল সরণ নির্ধারণ করা হয়েছে- ১০.৩। যার অর্থ একটি ‘সমতল’ মহাবিশ্বে এই গ্যালাক্সি থেকে যে আলো আমরা এ বছর অবলোকন করছি, তা প্রায় ১৩.৩ বিলিয়ন বা এক হাজার তিন শ তিরিশ কোটি বছর আগে রওনা দিয়েছিল। তবে এর অর্থ এটা নয় যে,এই গ্যালাক্সির দূরত্ব ১৩.৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষ।

কারণ, যে আলো আমরা আজ দেখছি,সেটা বিকিরণের সময় এই গ্যালাক্সি ‘আমাদের’ অনেক কাছে ছিল, যদিও পৃথিবীর তখন জন্মই হয়নি। পাশাপাশি ‘এই মুহূর্তে’ সেটার দূরত্ব ১৩.৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষের অনেক বেশি হবে। স্থানের প্রসারণের জন্য মহাকাশ বিদ্যায় দূরবর্তী গ্যালাক্সিদের দূরত্ব নির্ধারণ করা তুলনামূলকভাবে জটিল এবং একটি ‘সমতল’ মহাবিশ্বে এই গ্যালাক্সির ‘বর্তমান’ দূরত্ব ৩২ বিলিয়ন আলোক বর্ষের কাছাকাছি।

কিন্তু কেন এই গ্যালাক্সির দূরত্ব ১৩.৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষ নয়? বরং ৩২ বিলিয়ন আলোকবর্ষের কাছাকাছি?!

প্রথমত,যখন ওই গ্যালাক্সি থেকে আলো রওনা দিয়েছিল তখন সেই গ্যালাক্সি ও আমাদের ছায়াপথ গ্যালাক্সির মধ্যে দূরত্ব ছিল ৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষের মতো। এটা কীভাবে আমরা গণনা করছি, সেটা পরে বলছি। সেই গ্যালাক্সি থেকে আলোর কণিকা যতই পৃথিবীর দিকে আসবে, মাঝখানের স্থানের প্রসারণ ক্রমাগত হতেই থাকবে। কাজেই আলোকে সেই সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে সাঁতরাতে হবে।

ধরুন,আমরা একটা নদী সাঁতরে পার হতে চাই। কিন্তু সাঁতরানোর সময় দেখি অপর পাড় আমাদের থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। আবার পেছন ফিরে দেখি- যে পাড় থেকে যাত্রা শুরু করেছিলাম, সেই পাড়ও দূরে চলে যাচ্ছে। তাই ফোটনদের ৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষের বদলে ১৩.৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষ লাগবে আমাদের কাছে পৌঁছাতে। তত দিনে উৎসের গ্যালাক্সিটি দূরে সরে গিয়ে পৃথিবী থেকে ৩২ বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করবে।

সুতরাং বর্তমান সময়ে আমাদের দুরবিনে সেই গ্যালাক্সির যে আলো দেখছি,সেটা ১৩.৩ বিলিয়ন বছর আগে গ্যালাক্সিটির কী অবস্থা ছিল, তা-ই দেখাচ্ছে। স্থানের স্ফীতির ফলে এর মধ্যে আবার ফোটনেরও তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেড়ে গেছে। যার ফলে তার রেড শিফট বা লাল সরণ হয়েছে।

একটু আগে যেমনটা বলেছি- MACS0647-JD গ্যালাক্সির লাল সরণ ১০.৩। কাজেই সেই গ্যালাক্সির যে আলো আমরা আজ দেখছি, সেটা সেই গ্যালাক্সি থেকে যখন বেরিয়েছে, তখন মহাবিশ্বের ব্যাস আজ থেকে ১১.৩ গুণ ছোট ছিল।

এখন দেখা যাক ১০.৩ এর সময় মহাবিশ্ব আজকের থেকে কত ছোট ছিল। এই হিসাবটার জন্য আমাদের মহাবিশ্বের একটা মডেল ঠিক করতে হবে। এটার জন্য জ্যোতির্বিদেরা আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতা সমীকরণের ফ্রিডমান সমাধান ব্যবহার করেন।

এই মডেলে বিগ ব্যাংয়ের ৪৫৫ মিলিয়ন বছর পরে সেই সুদূর গ্যালাক্সি থেকে আলোর যাত্রা শুরু হয়। সেই গ্যালাক্সির ‘কো-মুভিং’ বা বর্তমান দূরত্ব হচ্ছে প্রায় ৩২ বিলিয়ন আলোকবর্ষ। তাহলে যে আলো আমরা আজ দেখছি, সেটা যখন গ্যালাক্সি থেকে বেরিয়েছিল তখন আমাদের আজকের অবস্থান ও সেই গ্যালাক্সির মধ্যে দূরত্ব ছিল প্রায় ৩ বিলিয়ন আলোক বছরের মতো। সেই ৩ বিলিয়ন আলোকবর্ষ ফুলে-ফেঁপে আজ ৩২ বিলিয়ন হয়েছে। এর মধ্যে আবার মহাবিশ্বের বয়স বেড়েছে ১৩.৩ বিলিয়ন বছর।

প্রতিদিন প্রতি মুহুর্তে এভাবে মহাবিশ্বের বয়স বাড়ছে এবং তা প্রসারিত হচ্ছে … কিন্তু ঠিক কতটুকু প্রসারিত হচ্ছে মানুষ তা সামান্যই জানতে পারছে …

وَمَا أُوتِيتُم مِّنَ الْعِلْمِ إِلَّا قَلِيلًا ‎

‘এ বিষয়ে তোমাদেরকে সামান্য জ্ঞানই দান করা হয়েছে।’ [সূরা ইসরা, ১৭: ৮৫]

আল্লাহর ইলমের তুলনায় মনুষের জ্ঞান নগন্য, খুবই সামান্য। বিশাল সমুদ্রের তুলনায় সুঁইয়ের আগায় ওঠা পানির মত! তবে মানুষের মন বড় কৌতুহলি। সব কিছু জানতে চায়। তাই আমরা জানার তৃষ্ণা মেটানোর চেষ্টা করছি মাত্র।

  • মহাবিশ্বের শেষ প্রান্তে পৌঁছানোর সম্ভাবনা

প্রিয় দর্শক! এতক্ষণ আমরা মহাবিশ্বের আকার ও সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করেছি, যেন মহাবিশ্বের আয়তনের ধারণা পাওয়া যায়। এখন আমরা মহাবিশ্বের শেষ প্রান্তে পৌছার সম্ভাবনা আলোচনা করবো। কিন্তু এখানে ৩ টি বিষয় লক্ষণীয় :

ক. আমরা কেবল “অবজারভেবল ইউনিভার্স” এর আয়তন আলোচনা করেছি,যা মহাবিশ্বের মাত্র ৫%।

খ. এই ৫% স্থান সম্প্রসারণশীল এবং ডার্ক এনার্জির প্রভাবে এই প্রসারণের হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গ. সকল দূরত্ব এবং গতিবেগ হিসেব করার ক্ষেত্রে আলোর গতিকে মানদন্ড ধরা হয়েছে। অথচ মহাবিশ্বের কিছু দূরবর্তী এলাকার আলো এখনও পর্যন্ত পৃথিবীতে পৌঁছাতে পারেনি। কারণ,এই এলাকাগুলো আলোর চেয়েও দ্রুতগতিতে প্রসারিত হচ্ছে।

তবুও যদি স্থানের প্রসারণশীলতাকে অগ্রাহ্য করা হয়,তাহলেও “অবজারভেবল ইউনিভার্স” বা মহাবিশ্বের মাত্র ৫% এর সীমানার দূরত্ব পাওয়া যায় এক হাজার নয়শত (১,৯০০) কোটি পারসেক বা ছয় হাজার দুইশত (৬,২০০) কোটি আলোকবর্ষ। [https://en.wikipedia.org/wiki/Observable_universe]

এ বার তাহলে দেখা যাক- এই বিশাল দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার জন্য মানুষের কাছে কী প্রযুক্তি আছে। মানুষের কাছে কি এমন কোনো আপডেটেড, সুপারসনিক বা আল্ট্রা স্পিডি স্পেস ক্রাফ্ট আছে, যা দিয়ে এই দূরত্ব পাড়ি দেওয়া সম্ভব?

  • সবচেদ্রুত গতির স্পেস ক্রাফট

প্রিয় দর্শক! এখনো পর্যন্ত মানুষের বানানো সবচে’ দ্রুত গতির স্পেস ক্রাফ্ট হলো পার্কার সোলার প্রোব। এর গতি ঘন্টায় ছয় লক্ষ নব্বই হাজার (৬৯০,০০০) কি. মি.। অর্থাৎ “পার্কার সোলার প্রোব” প্রতি সেকেন্ডে বা ১ বলতে যতটুকু সময় লাগে ততক্ষণে ১৯১.৬৬ বা প্রায় এক শত বিরানব্বই কি.মি. পথ পাড়ি দেয়। এটাকে বলা হয় দ্যা ফাস্টেস্ট অবজেক্ট এভার বিল্ট বাই হিউম্যানস (the fastest object ever built by humans)। মানব সভ্যতার আবিষ্কৃত সবচেয়ে দ্রুতগামী বস্তু। [https://en.wikipedia.org/wiki/Parker_Solar_Probe]

২০১৮ সালে সূর্যের বাইরের করোনা বা আলোক-মন্ডল পর্যবেক্ষণ করার লক্ষ্যে এটা চালু করা হয়েছিল। ২০২৫ সাল নাগাদ এটা সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছাবে। অর্থাৎ এটা সূর্যের কেন্দ্র থেকে ৯.৮৬ সৌর ব্যাসার্ধ বা ৬.৯ মিলিয়ন কি.মি. এর মধ্যে পৌঁছাবে। অন্য ভাষায় বলা যায়- পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুত বস্তুটি সেকেন্ডে একশত বিরানব্বই কি.মি. গতিতে পথ পাড়ি দিয়ে নিজ নক্ষত্রের কাছাকাছি পৌছাতে সময় লাগবে ৭ বছর!

প্রিয় দর্শক! এখানে আপনাদেরকে আরেকটি মজার তথ্যও জানিয়ে রাখি। “পার্কার সোলার প্রোব” এর গতি আলোর গতির ০.০৬৪% মাত্র। অথচ এটাই কিনা মানব সভ্যতার আবিষ্কৃত স্মরণকালের সবচেয়ে দ্রুত বস্তু! কী আশ্চর্য! তাহলে এক বার ভেবে দেখুন তো- কোনো স্পেস ক্রাফট যদি আলোর গতিতে চলতে থাকে, তাহলে-

  • আমাদের গ্যালাক্সি অর্থাৎ আমাদের সৌরজগত যে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সিতে অবস্থান করছে, সেই মিল্কিওয়ের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের দূরত্ব ২ লক্ষ (২,০০,০০০) আলোকবর্ষ! মানুষ যদি কোনো দিন আলোর বেগের সমান গতি সম্পন্ন অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে ৩ লক্ষ কি.মি গতি সম্পন্ন কোনো স্পেসক্রাফ্ট বানাতে পারে, সেটা  শুধু মিল্কিওয়ের এক পাশ থেকে অন্য পাশে যেতে গেলেও দুই লক্ষ বছর লাগবে! এবার ভাবুন, পুরো মিল্কিওয়ে ঘুরতে কত কোটি আলোকবর্ষ লাগবে!?
  • কি ঘাবড়ে গেলেন? নাহ,এখানেই শেষ নয়। এত বিশাল গ্যালাক্সি মহাবিশ্বের খুব ছোট একটা অংশ। আমাদের গ্যালাক্সিসহ ৫৫ টি গ্যালাক্সি একত্র হয়ে তৈরি করে লোকাল গ্রুপ। এই লোকাল গ্রুপের বিস্তৃতি ১ কোটি (১,০০,০০,০০০) আলোকবর্ষ! আবার ১০০+ লোকাল গ্রুপ মিলে তৈরি হয় বিশালাকৃতির মহাজাগতিক গ্যালাক্সি-গুচ্ছ যার নাম ভার্গো সুপারক্লাস্টার। এর ব্যাস প্রায় ১১ কোটি (১১,০০,০০,০০০) আলোকবর্ষ!
  • কিন্তু এটাও হয়রান হবার মত কিছু নয়। এই সুপারক্লাস্টারও মহাবিশ্বের ছোট একটা অংশ! এ রকম আরো ২০-৩০ টি সুপারক্লাস্টার একত্র হয়ে তৈরি করে গ্রেইট লানিয়াকেয়া সুপারক্লাস্টার নামক বৃহৎ গ্যালাক্সি-গুচ্ছ। যেখানে আছে আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির মত ১ লক্ষ+ গ্যালাক্সি! এই লানিয়াকেয়ার ব্যাস প্রায় ৫২ কোটি (৫২,০০,০০,০০০) আলোকবর্ষ! আবারও হতাশ করার জন্য বলছি, এই গ্রেইট লানিয়াকেয়া নামক গ্যালাক্সি-গুচ্ছ পুরো মহাবিশ্বের তুলনায় খুবই সামান্য এবং ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র! অবজার্ভেবল ইউনিভার্সেএর চেয়ে আরও বড় গ্যালাক্সি-গুচ্ছ আছে!
  • এখন পর্যন্ত আবিষ্কার হওয়া সুপারক্লাস্টারের মধ্যে সর্ববৃহৎ হলো হারকিউলিস-করোনা বরিয়ালিস গ্রেইট ওয়াল! এটি আবিস্কৃত হয় ২০১৪ সালে। এটা এতটাই বড় যে, এটিকে ঘুরে আসতে সময় লাগবে ১ হাজার (১০০০,০০,০০,০০০) কোটি আলোকবর্ষ! ? অথচ আমাদের মহাবিশ্বের বয়সই ১৩.৮ বিলিয়ন আলোকবর্ষ!

প্রিয় দর্শক! এ পর্যায়ে আপনাদের আবারও মনে করিয়ে দিতে চাই-

ক. “অবজারভেবল ইউনিভার্স” এর আয়তন মহাবিশ্বের মাত্র ৫%।

খ. এই ৫% স্থান সম্প্রসারণশীল এবং ডার্ক এনার্জির প্রভাবে প্রসারণের হার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গ. মহাবিশ্বের কিছু দূরবর্তী এলাকা আলোর চেয়েও দ্রুতগতিতে প্রসারিত হচ্ছে।

ঘ. “পার্কার সোলার প্রোব” এর গতি আলোর গতির ১ ভাগও নয়,০.০৬৪% মাত্র।

ঙ. সুপারক্লাস্টার হারকিউলিস-করোনা বরিয়ালিস গ্রেইট ওয়াল ঘুরে আসতে সময় লাগবে ১ হাজার কোটি আলোকবর্ষ!

(কয়েক সেকেন্ড বিরতি। মহাশূন্যে পার্কার সোলার প্রোব উড়ে চলছে- দেখানো হবে)

প্রিয় দর্শক! মহাবিশ্বকে প্রসারণশীল নয় বরং স্থির ধরে হিসেব করলেও এর মাত্র ৫% জায়গা ঘুরে আসতে যদি ১ হাজার কোটি আলোকবর্ষ প্রয়োজন হয়,তাহলে বাকী ৯৫% ঘুরে আসতে কত সময় লাগবে? আসলে মহাবিশ্ব তো বাস্তবে স্থির নয় বরং প্রতিনিয়ত প্রসারিত হচ্ছে। আসমান বা মহাবিশ্ব তো ১ টি নয় বরং ৭ টি। তাহলে কি আদৌ মহাবিশ্বের শেষ সীমানায় পৌছানো সম্ভব?!১ম আসমানের সীমানায় পৌছাতেই যেখানে এত সময় দরকার, সেখানে ৭ আসমান ও ৭ যমীনের সীমানায় পৌছার সাধ্য কারো আছে কি?

يَا مَعْشَرَ الْجِنِّ وَالْإِنسِ إِنِ اسْتَطَعْتُمْ أَن تَنفُذُوا مِنْ أَقْطَارِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ فَانفُذُوا ۚ لَا تَنفُذُونَ إِلَّا بِسُلْطَانٍ

‘হে জিন ও মানুষ! আসমান ও যমীনের প্রান্ত অতিক্রম করা যদি তোমাদের সাধ্যে কুলায়,তবে অতিক্রম কর। কিন্তু ছাড়পত্র ব্যতীত তোমরা তা অতিক্রম করতে পারবে না।’ [সূরা আর-রহমান, ৫৫: ৩৩]

প্রিয় দর্শক! আজকের আলোচনা আর লম্বা করতে চাই না। পদার্থবিদ্যার রাজপুত্র স্যার আইজ্যাক নিউটন বলেন : অভিকর্ষ গ্রহসমূহের গতির বিষয়টি ব্যাখ্যা করে। কিন্তু এটি ব্যাখ্যা করতে পারে না যে, কে গ্রহগুলোকে গতিশীল হিসেবে নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপন করে দিলেন। স্রষ্টা সকল কিছু নিয়ন্ত্রণ করেন এবং যা কিছু ঘটছে বা যা কিছু ঘটা সম্ভব তার সবই তিনি জানেন। [https://www.sutori.com/en/story/sir-isaac-newton–yR8dyEaqxZAt4iAQQsonYgVV]

নোবেলজয়ী পদার্থবিদ অ্যালবার্ট আইনস্টাইন বলেন : মহাবিশ্ব এতটাই অসাধারণ যে, শুধুমাত্র ঈশ্বরই এটি সৃষ্টি করতে পারেন। [https://en.wikipedia.org/wiki/Religious_and_philosophical_views_of_Albert_Einstein]

তাই আমরাও কুরআনুল কারীমের সুরে শুধু এতটুকুই বলতে চাই-

تَبَارَكَ الَّذِي بِيَدِهِ الْمُلْكُ وَهُوَ عَلَىٰ كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ

‘পূণ্যময় তিনি, যাঁর হাতে রাজত্ব। তিনি সবকিছুর ওপর সর্বশক্তিমান।’ [সূরা মুলক, ৬৭: ১]

الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَاوَاتٍ طِبَاقًا ۖ مَّا تَرَىٰ فِي خَلْقِ الرَّحْمَٰنِ مِن تَفَاوُتٍ ۖ فَارْجِعِ الْبَصَرَ هَلْ تَرَىٰ مِن فُطُورٍ

‘তিনি সাত আসমানকে স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। তুমি রহমানের সৃষ্টিতে কোনো তফাত দেখতে পাবে না। আবার দৃষ্টি ফেরাও; কোনো ফাটল দেখতে পাও কি? অতঃপর তুমি বার বার তাকিয়ে দেখ। তোমার দৃষ্টি ব্যর্থ ও পরিশ্রান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে।’ [সূরা মুলক, ৬৭: ৩-৪]

خَلَقَ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ بِالْحَقِّ تَعَالَى عَمَّا يُشْرِكُونَ

‘তিনি যথাযথভাবে আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। তারা যা শরীক করে তিনি তা থেকে বহু উর্ধে।’[সূরা নাহল, ১৬: ৩]

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের সকলকে তাঁর সৃষ্টিকুশলতা অনুধাবন করে তাঁর প্রতি যথাযথ ঈমান আনার তাওফিক দান করুন, আমীন!

More News Of This Category

আজকের সময় ও তারিখ

এখন সময়ঃ বিকাল ৫:০২

আজঃ বুধবার,

বর্ষাকাল

১৯ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩ জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৬ জিলহজ ১৪৪৫ হিজরি


© All rights reserved © 2023 ISLAM AND LIFE
ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট @ ubaidullah

You cannot copy content of this page